অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে বিভিন্ন পণ্যের ওপর ভ্যাট ও শুল্ক পরিবর্তনের প্রস্তাব দিয়েছেন, যা কিছু পণ্য ও সেবার দামের ওঠানামা করবে। উদ্যোক্তাদের জন্য কিছু সুবিধার কথা ঘোষণা করেছেন। কিছু পণ্যের দামে প্রভাব পড়ছে। উদ্যোক্তাদের চাওয়া পাওয়া বাজেটে কতটুকু প্রতিফলিত হয়েছে তা আমরা জানতে চেয়েছি আনিসুল হক কোহর্ট নারী উদ্যোক্তাদের কাছে।
১।
শিলা আক্তার, উদ্যোক্তা, আই ক্লে
“নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বাজেটে আমার জন্য কী আছে? পাঁচ বছর অন্তত লাগে উদ্যোগকে একটি জায়গায় নিয়ে যেতে। লাভ্যাংশকে পুনরায় ইনভেস্ট করেই আমাদের মতো উদ্যোক্তার ক্যাপিটাল তৈরি হয়। করমুক্ত আয়ের সীমা অন্তত পাঁচ লাখ না করলে আমার উদ্যোগকে বড় করব কি করে?”
২।
রওশন জাহান, উদ্যোক্তা, পারফেকশন অব পরিণীতা
“আমাকে একটি স্বনামধন্য ব্যাংক তিনদিনের মাথায় ১৪ লাখ টাকা কার লোন দিয়েছে। আবার আমার উদ্যোগ পারফেকশন অব পরিণিতার জন্য দিনের পর দিন ব্যংক লোনের জন্য ঘুরছি। নানারকম বাড়তি কাগজ আর জমানতের জন্য ঘুরতে হয়েছে। কয়েকবছর ধরেই কথা হচ্ছে উদ্যোক্তার সহজে ঋণ পাওয়া নিয়ে। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না। ঋণ নিলে প্রথম মাস থেকেই কিস্তি শুরু হয়। পুঁজি খাটিয়ে প্রথম মাসেই কি প্রফিট বের করা যায়? কীভাবে প্রথম মাসে কিস্তি দেওয়া শুরু করব? বাজেটে এসব বিষয়গুলো এলে উদ্যোক্তা হিসেবে উপকার পেতাম।”
৩।
নাসরিন জাহান,উদ্যোক্তা, প্রয়াস
“বাজেটের ফলে সুতার দাম কমলেও কাপড়, রঙ, মজুরি ও পরিবহণ খরচ বেড়ে গেছে। আবার তৈরি পোষাকের বাজার অতি প্রতিযোগিতামূলক হওয়ায় পোষাক আগের মূল্যেই বিক্রি করতে হচ্ছে। প্রকৃত মূল্যের ১০-১২% কম মূল্যে পোষাক বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি।”