২০০৬ সালে ট্রেড লাইসেন্স করে নিজস্ব ডিজাইনের দেশীয় পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন জান্নাত সুলতানা। তার উদ্যোগের নাম সিজনস্ বুটিকানো। ২০১৪ সাল থেকে অনলাইনে কাজ শুরু করেন। তার মূল পন্য ব্লক, বাটিক, স্ক্রিনপ্রিন্ট, জামদানী ইত্যাদি।
তবে দেশীয় পণ্য নিয়ে কাজ করা প্রথমে সহজ ছিল না জান্নাত সুলতানার। বিদেশী কাপড়ের প্রতি সবার একটু ঝোঁক বেশি। প্রতিনিয়ত লেগে থেকে আজ দেশীয় পণ্য নিজের জায়গা তৈরি করতে পেরেছে। বর্তমানে তার পণ্য দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও বিক্রি হচ্ছে।
যেহেতু অনলাইনে ও অফলাইনে উদ্যোগ বাসা থেকে পরিচালিত হতো তাই ব্যবসায় কিছু ঘাটতি থেকেই যাচ্ছিল। ২০২২ সালে “আনিসুল হক কোহর্ট ফর গ্রোথ অফ উইমেন অন্টাপ্রেনিউরস” সম্পর্কে জানতে পারেন এবং সেখানে আবেদন করে নির্বাচিত হন। কোহর্টের পুরোটা সময় বিভিন্ন সেশনে অংশ নেন এই উদ্যোক্তা।
কোহর্ট সম্পর্কে জান্নাত সুলতানা বলেন, কোহর্টে যোগ দেওয়ার মূল কারন ছিল নেটওয়ার্ক বৃদ্ধি। কোহর্ট থেকে বিজনেসের বিভিন্ন বিষয়গুলো এক্সপার্ট রিসোর্স পার্সনদের থেকে জেনে নিতে পেরিছি এবং ভুলগুলো সংশোধন করতে পেরেছি। ব্যবসার আদর্শ মডেল অনুসারে পরিচালনা করার দিক নির্দেশনা পেয়েছি।
অনলাইনে ব্যবসা করলে ছোট একটি কারখানা চালু করেছিলেন এই উদ্যোক্তা কিন্তু সেটি কভিড-১৯ সময়ে বন্ধ করে দিতে হয়। “আনিসুল হক কোহর্ট ফর গ্রোথ অফ উইমেন অন্টাপ্রেনিউরস”শেষে আবারোও ঘুরে ধারানোর অনুপ্রেরণা নিয়ে নারায়ণগঞ্জের চাষারায় অন্য উদ্যোক্তাদের সঙ্গে মিলে শো-রুম চালু করেছেন। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জের মেয়র থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ তার এই শো-রুমে আসছেন এবং তাদের প্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করছেন।
জান্নাত সুলতানা এখন স্বপ্ন দেখছেন আগামী ১০ বছর পর বড় পরিসরে ফ্যাক্টরী সহ নূন্যতম ৩ টি শোরুম প্রতিষ্ঠা করা।
উল্লেখ্য, সাত মাসব্যাপী “আনিসুল হক কোহর্ট ফর গ্রোথ অফ উইমেন অন্টপ্রেনিউরস”আয়োজিত হয় ঢাকার প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের স্মরণে গঠিত আনিসুল হক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) ও উদ্যোক্তাদের প্লাটফর্ম চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব গ্রুপ এর যৌথ উদ্যোগে। পার্টনার হিসেবে ছিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ বিভাগ, আনিসুল হক স্টাডি সেন্টার ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বাংলাদেশ।