ছোট থেকে ড্রয়িং করে আসা শিলা আক্তার এক সময় স্বপ্ন দেখতেন চারুকলায় পড়বেন এবং চিত্রশিল্পি হিসেবে কাজ করবেন। কিন্তু তার বাবা মারা যাওয়ার কারনে তার সেই স্বপ্ন বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ এমবি শেষ করেন শিলা।
ড্রয়িং বাদ দিয়ে সংসারে মনযোগী হয়ে পুরোপুরি সংসারী হয়ে উঠা শিলা আক্তার আবারো ড্রয়িং করতে শুরু করেন স্বামী এবং পরিবারের অনুপ্রেরণায় ।
২০১৮ সাল থেকে ড্রয়িং করে সেগুলো বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে এবং নিজের পেজে পোস্ট দিতেন শিলা আক্তার। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পরপরই সেগুলো বিক্রি হয়ে যেত, যা থেকে তিনি অনুপ্রেরণা পান নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। ফেসবুক ভিত্তিক পেজ খুলে আইক্লে নামে তিনি তার উদ্যোগ শুরু করেন।
২০২২ সালে “আনিসুল হক কোহর্ট ফর গ্রোথ অফ উইমেন অন্টাপ্রেনিউরস” সম্পর্কে জানতে পারেন এবং সেখানে আবেদন করে নির্বাচিত হন। কোহর্টের পুরোটা সময় বিভিন্ন সেশনে অংশ নেন এই উদ্যোক্তা। আনিসুল হক কোহর্টের সেশন থেকে জানতে পারেন ব্যবসা বা উদ্যোগের শুরুতেই ট্রেড লাইসেন্স করতে হয়। ২০২২ সালেই উনি উনার উদ্যোগের ট্রেড লাইসেন্স করেন।
২০২৩ সালে এসে উনি উনার উদ্যোগের জন্য একটি অফিস কাম ট্রেনিং সেন্টার শুরু করেন। শীঘ্রই উনি উনার ট্রেনিং সেশন শুরু করবেন।
বর্তমানে একাই কাজ করছেন ফলে স্বল্প সময়ে অধিক পরিমাণে অর্ডার সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না। তার ইচ্ছে নিজে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী তৈরি করে নিজের প্রতিষ্ঠানে তাদেরকে যুক্ত করে অধিক পরিমাণে অর্ডার সরবরাহ করা।
উল্লেখ্য, সাত মাসব্যাপী “আনিসুল হক কোহর্ট ফর গ্রোথ অফ উইমেন অন্টপ্রেনিউরস”আয়োজিত হয় ঢাকার প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের স্মরণে গঠিত আনিসুল হক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) ও উদ্যোক্তাদের প্লাটফর্ম চাকরি খুঁজব না চাকরি দেব গ্রুপ এর যৌথ উদ্যোগে। পার্টনার হিসেবে ছিল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইনোভেশন অ্যান্ড অন্ট্রাপ্রেনিওরশিপ বিভাগ, আনিসুল হক স্টাডি সেন্টার ও ভেঞ্চার ক্যাপিটাল বাংলাদেশ।